আয়কর আইন ২০২৩
ধারা ৮৬ - চাকরির আয় হইতে উৎসে কর কর্তন
(১) কোনো প্রাপককে “চাকরি হইতে আয়” খাতের অধীন কোনো চাকরির অর্থ পরিশোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, উক্ত অর্থ পরিশোধের সময়, উক্ত খাতের অধীন প্রাপকের ১[প্রাক্কলিত] মোট আয়ের উপর প্রযোজ্য করের গড় হারে কর কর্তন করিবেন।
(২) ২[***]
(৩) যেইক্ষেত্রে কোনো সরকারি কর্মকর্তা আয়নকারী ও ব্যয়নকারী কর্মকর্তা (ডিডিও) হিসাবে কার্য সম্পাদন করিয়াছেন বা সরকার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে “চাকরি হইতে আয়” উত্তোলন করিবার জন্য নিজের বা অন্য কোনো সরকারি অধীনস্তের জন্য বিল প্রস্তুত বা স্বাক্ষর করিয়াছেন, সেইক্ষেত্রে তিনি উক্ত বিল তৈরি বা স্বাক্ষরের সময়, উক্ত আয়বর্ষের জন্য প্রদেয় বার্ষিক বেতন যদি করমুক্ত সীমা অতিক্রম করে, তাহা হইলে উক্ত আয়বর্ষের আনুমানিক মোট আয়ের জন্য প্রযোজ্য করের গড় হারে কর কর্তন করিবেন।
(৪) উপ-ধারা (১) এবং (৩) এর অধীন কোনো কর্তনের সময়, পূর্ববর্তী কোনো উদ্বৃত্ত বা ঘাটতির সহিত সমন্বয়ের জন্য উদ্বৃত্ত বা ঘাটতির সমপরিমাণ অর্থ বৃদ্ধি বা হ্রাস করা যাইবে।
(৫) যেইক্ষেত্রে এই আইনের অধীন প্রদেয় অগ্রিম করসহ, এই ধারার অধীন ইতোমধ্যে উৎসে কর প্রদান করা হইয়াছে এবং কোনো কর্মচারীর সম্ভাব্য মোট আয়ের উপর প্রযোজ্য কর উক্তরূপে প্রদেয় করের পরিমাণের কাছাকাছি বলিয়া বিবেচিত হয়, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত কর্মচারী কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদন এবং প্রদত্ত প্রমাণাদির ভিত্তিতে, অবশিষ্ট আয়বর্ষের জন্য এই মর্মে প্রত্যয়নপত্র জারি করিতে পারিবেন যে, উক্ত কর্মচারীর নিকট হইতে কোনো কর কর্তন করা হইবে না বা কম হারে কর কর্তন করা হইবে।
১ অর্থ আইন, ২০২৪ এর ৩৫(ক) ধারাবলে “আনুমানিক” শব্দটির পরিবর্তে “প্রাক্কলিত” শব্দটি প্রতিস্থাপিত।
২ অর্থ আইন, ২০২৪ এর ৩৫(খ) ধারাবলে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) বিলুপ্ত।
[(২) স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের পুঞ্জিভূত স্থিতি হইতে কোনো অর্থ পরিশোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বিতীয় তফসিলের অংশ ৩ এর অনুচ্ছেদ ৬ এ উল্লিখিত প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কর কর্তন করিবেন। ]
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইটে উল্লিখিত কোনো কিছু যদি সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশের সহিত সাংঘর্ষিক হয় সেইক্ষেত্রে উক্ত ইস্যুকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশই প্রাধান্য পাবে।