Tax VAT Point

আয়কর আইন ২০২৩

দ্বিতীয় তফসিল - অনুমোদিত তহবিলসমূহ [ধারা ২ দ্রষ্টাব্য]

অংশ ৩ - স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল

১। অপ্রযোজ্যতা।-

এই অংশের বিধানাবলি Provident Fund Act, 1925 (Act No. 19 of 1925) প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোনো ভবিষ্য তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

২। স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের ক্ষেত্রে পূরণীয় শর্তাবলি।-

কোনো ভবিষ্য তহবিল কর্তৃক স্বীকৃতি গ্রহণ এবং স্বীকৃতি বহাল রাখিবার জন্য নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ করিতে হইবে-

(ক) সকল কর্মচারীর নিয়োগ বাংলাদেশের মধ্যে হইতে হইবে অথবা নিযুক্ত কর্মচারীগণের নিয়োগকর্তার ব্যবসার মুখ্য স্থান বাংলাদেশে অবস্থিত হইতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, নিয়োগকৃত কর্মচারীগণের অনধিক ১০% (দশ শতাংশ) বাংলাদেশের বাহিরে নিযুক্ত থাকা সত্ত্বেও, কর কমিশনার (অতঃপর এই অংশে “কমিশনার” হিসাবে উল্লিখিত) যদি শর্তসাপেক্ষে বিবেচনা করেন, তাহা হইলে উক্ত শর্ত সাপেক্ষে, কোনো নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের বাহিরে হওয়া সত্ত্বেও তাহার পরিচালিত তহবিলকে স্বীকৃতি প্রদান করিতে পারিবে;

(খ) কোনো বৎসর একজন কর্মচারীর বার্ষিক চাঁদার পরিমাণ তাহার বার্ষিক বেতন হইতে নির্দিষ্ট হারে ধার্য করা হইবে, এবং সেই বৎসর কর্মচারীর বেতন হইতে যেই হারে চাঁদা পরিশোধ্য ছিল সেই হারের নিরিখে প্রতিটি পর্যায়ক্রমিক কিস্তিতে নিয়োগকর্তা কর্তৃক চাঁদা কর্তন করা হইবে এবং তহবিলে কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে উক্ত অর্থ জমা প্রদান করিতে হইবে;

(গ) কোনো বৎসরের জন্য কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিশোধযোগ্য চাঁদার পরিমাণ সেই বৎসরের জন্য কর্মচারীর প্রদেয় চাঁদার পরিমাণ অপেক্ষা অধিক হইতে পারিবে না, এবং নিয়োগকর্তা কর্তৃক সেই অর্থ কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে অনধিক ১ (এক) বৎসরের ব্যবধানে জমা প্রদান করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনার, এতদুদ্দেশ্যে বোর্ড কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা সাপেক্ষে, কোনো বিশেষ তহবিলের জন্য নিম্ববর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে এই দফার বিধান শিথিল করিতে পারিবেন –

(অ) যে কর্মচারীর মাসিক বেতন অনধিক ৫০০ (পাঁচশত) টাকা, এইরুপ প্রতিটি কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তা কর্তৃক অধিক চাঁদা জমাদানের অনুমতি প্রদান; এবং

(আ) নিয়োগকর্তা কর্তৃক কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সাময়িক বা পর্যায়ক্রমিক বোনাস বা আকস্মিক প্রকৃতির চাঁদা প্রদানের অনুমতি প্রদান, যেইক্ষেত্রে তহবিলের প্রবিধানমালা অনুসারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় এইরূপ বোনাস ও অন্যান্য চাঁদা পরিগণনা ও পরিশোধ করা হয়;

(ঘ) উপরি-উল্লিখিত চাঁদাসমূহ এবং ট্রাস্টি কর্তৃক গৃহীত দান, যদি থাকে, তাহার পুঞ্জিভূত অর্থের সুদ, জমাকৃত অর্থ এবং এইরূপ অর্থ দ্বারা ক্রয়কৃত সিকিউরিটি এবং তহবিলের মূলধনি সম্পদের বিক্রয়, বিনিময় বা হস্তান্তর হইতে উদ্ভূত মূলধনি অর্জন দ্বারা তহবিলটি গঠিত হইবে, এবং এই অর্থ ব্যতীত অন্য কোনো অর্থ দ্বারা তহবিল গঠিত হইবে না;

(ঙ) তহবিলটি কোনো ট্রাস্টের অধীন দুই বা ততোধিক ট্রাস্টি বা অফিসিয়াল ট্রাস্টির উপর ন্যস্ত হইবে, যাহা উক্ত ট্রাস্টের সকল সুবিধাভোগীর সম্মতি ব্যতীত পরিবর্তনযোগ্য হইবে না;

(চ) যেইক্ষেত্রে কোনো কর্মচারী তাহার ভগ্ন স্বাস্থ্যগত কারণ বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণ ব্যতীত অসদাচরণের জন্য বরখাস্ত হন, অথবা তহবিলের প্রবিধানমালায় চাকরির নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম হইবার পূর্বে স্বেচ্ছায় চাকরি ত্যাগ করেন, সেইক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা তহবিল বাবদ কোনো অর্থ কর্মচারীর নিকট হইতে কোনোভাবে আদায় করিবার অধিকারী হইবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ক্ষেত্রে তহবিলের প্রবিধানমালা অনুসারে কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিশোধিত চাঁদাও পরিশোধিত চাঁদাসহ পুঞ্জিভূত অর্থের উপর উপচিত সুদ বাবদ কোনো অর্থ নিয়োগকর্তা কর্তৃক তহবিল হইতে আদায় করা পর্যন্ত তাহার ক্ষমতা সীমিত থাকিবে;

(ছ) কোনো কর্মচারীকে তহবিলে তাহার পুঞ্জিভূত স্থিতি সেইদিন পরিশোধ করিতে হইবে, যেইদিন হইতে তিনি নিয়োগকর্তার অধীন তহবিল পরিচালনা হইতে বিরত হইবে;

(জ) দফা (ছ) এর বিধান অথবা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাবলি ও বিধি-নিষেধ অনুসরণ ব্যতীত, কোনো কর্মচারীকে তাহার অনুকূলে জমাকৃত স্থিতির কোনো অংশ পরিশোধ করিবে না;

(ঝ) তহবিল বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটের মাধ্যমে, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, নির্ধারিত অন্যান্য শর্ত পূরণ করিবে।

৩। অনুমোদনের পদ্ধতি।-

(১) ভবিষ্য তহবিল অনুমোদনের লক্ষ্যে নিয়োগকর্তা কর্তৃক যে কমিশনারের অধীন করদাতা হিসাবে তাহার কর নির্ধারণ করা হয়, সেই কমিশনার বরাবর নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করিতে হইবে।

(২) কমিশনার আবেদনপত্র, সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও তাহার নিকট থাকা দলিলাদি বিবেচনা করিবেন এবং বিবেচনার জন্য লিখিতভাবে ট্রাস্টির নিকট অন্যান্য দলিলপত্র চাহিতে পারিবেন।

(৩) আবেদনপত্র বিবেচনাকালে কমিশনার, প্রয়োজনে, আবেদনকারীকে তাহার নিকট হাজির হইবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(৪) কমিশনার আবেদনপত্র প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে, লিখিত আদেশ দ্বারা, আবেদনপত্রের বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন এবং উক্তরুপে সিদ্ধান্ত প্রদান না করিলে, এইরূপ তহবিলের অনুমোদন প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে।

(৫) অনুমোদন মঞ্জুর হইলে, আদেশে নিম্নবর্ণিত বিষয় অন্তর্ভূক্ত হইবে –

(ক) অনুমোদনের শর্তাবলি ও যোগ্যতা;

(খ) অনুমোদন কার্যকর হইবার তারিখ;

(গ) অনুমোদন মঞ্জুরের মেয়াদ।

(৬) যে অর্থবৎসরে অনুমোদনের সিদ্ধান্ত প্রদান করা হইবে, অনুমোদন কার্যকর হইবার তারিখ সেই অর্থবৎসরের শেষ তারিখের পরের কোনো তারিখে হইবে না।

(৭) কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য অনুমোদন প্রদান করা হইলে, উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণের পূর্বে নিয়োগকর্তা কর্তৃক উক্ত মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করিতে হইবে।

৪। অনুমোদন প্রত্যাহার।-

(১) যদি কমিশনার এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, সংশ্লিষ্ট ভবিষ্য তহবিল কর্তৃক এই অংশের অনুচ্ছেদ ৩ ও ৪ এ বর্ণিত শর্তাদি লঙ্ঘিত হইয়াছে অথবা পরিপালন করা হয় নাই, তাহা হইলে কমিশনার উক্ত অনুমোদন যেকোনো সময় প্রত্যাহার করিতে পারিবেন।

(২) কমিশনার আবেদনকারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান না করিয়া অনুমোদন প্রত্যাহার করিবেন না।

(৩) যেইক্ষেত্রে উপ-অনুচ্ছেদ (১) এর অধীন অনুমোদন প্রত্যাহার করা হয়, সেইক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক নিম্নবর্ণিত বিষয় উল্লেখ করিয়া তহবিলের কোনো ট্রাস্টিকে লিখিতভাবে উহা অবহিত করিতে হইবে –

(ক) এইরুপ প্রত্যাহারের কারণ; এবং

(খ) প্রত্যাহার কার্যকর হইবার তারিখ।

(৪) যেইক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য অনুমোদন প্রদান করা হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাহার সমান্তি ঘটিবে, এবং ট্রাস্টি কর্তৃক অনুচ্ছেদ ২ এর অধীন নূতনভাবে আবেদন করিতে হইবে যদি পুনরায় অনুমোদন চাওয়া হয়:

তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনার উপযুক্ত বিবেচনা করিলে তহবিলের মেয়াদ উত্তীর্ণের পরও তহবিলের স্বীকৃতি বহাল রহিয়াছে মর্মে বিবেচনা করিতে পারিবেন।

৫। তহবিলের আয় এবং চাঁদা সম্পর্কিত ব্যবস্থা।-

(১) নিয়োগকর্তা কর্তৃক কোনো স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদার অর্থ, এই আইনে বর্ণিত সীমা সাপেক্ষে, তাহার কর নির্ধারণীর মাধ্যমে গণনাকৃত আয়, লাভ ও মুনাফা হইতে বাদ যাইবে।

(২) যেইক্ষেত্রে সুদ বা অন্য কোনো নামে তহবিল হইতে, চাঁদার অংশ ব্যতীত, কোনো আয় গৃহীত হয়, সেইক্ষেত্রে-

(অ) অনধিক ক পরিমাণ অর্থ কর পরিশোধ হইতে অব্যাহতি পাইবে, যদি ক < (খ × ৩৩%);

(আ) ক – (খ × ৩৩%) এর সমপরিমাণ অর্থ গ্রহীতার আয়ের সহিত যুক্ত হইবে, যদি ক > (খ × ৩৩%),
যখন –

= আয়বর্ষে তহবিল হইতে উদ্ভূত অর্থের পরিমাণ,

= আয়বর্ষে বেতন হইতে আয় (উক্ত আয় বাদে)।

৬। পুঞ্জিভূত স্থিতির উপর কর।-

(১) যেইক্ষেত্রে কোনো কর্মচারী তাহার নিয়োগকর্তার অধীন একাধিক্রমে অন্তত ৫ (পাঁচ) বৎসর চাকরি অব্যাহত রাখেন, এবং উক্ত কর্মচারীর অনুকূলে পুঞ্জিভূত স্থিতি তাহার প্রতি পরিশোধ্য হয়, সেইক্ষেত্রে, এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, এইরূপ পুঞ্জিভূত স্থিতি কর প্রদান হইতে অব্যাহতি পাইবে এবং এইরুপ স্থিতি তাহার মোট আয়ের হিসাববহির্ভূত থাকিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যদি কমিশনারের বিবেচনা করেন যে, কর্মচারীর ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে কিংবা নিয়োগকর্তার ব্যবসার সংকোচন বা বন্ধের ফলে কিংবা কর্মচারীর নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোনো কারণের ফলে, উক্ত কর্মচারীর চাকরির অবসান হওয়ায়, তিনি সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীন ৫ (পাঁচ) বৎসরের কম সময় চাকরি করিয়াছেন, তাহা হইলে কমিশনার উক্ত স্থিতির উপর কর অব্যাহতি মঞ্জুর করিতে পারিবেন।

(২) যেইক্ষেত্রে কোনো কর্মচারীর অনুকূলে পুঞ্জিভূত স্থিতি পরিশোধ হইলেও উপ-অনুচ্ছেদ (১) এর শর্ত পূরণ না হইবার কারণে কোনো কর অব্যাহতি প্রদান করা না হয়, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার প্রতিটি সংশ্লিষ্ট করবর্ষের জন্য কর্মচারীর যেই পরিমাণ মোট আয় প্রদেয় হয় তাহা নির্ধারণ করিবেন এবং এইরুপে নির্ধারিত কর এবং কর্মচারী কর্তৃক উক্ত বৎসরগুলোতে পরিশোধিত করের পার্থক্য, যে আয়বর্ষে পুঞ্জিভূত স্থিতি কর্মচারীকে প্রদেয় হইবে সেই আয়বর্ষে, কর্মচারী কর্তৃক পরিশোধিত হইবে।

(৩) পুঞ্জিভূত স্থিতি হইতে কোনো পরিশোধ কর কর্তন সাপেক্ষ হইবে যদি না উক্ত পরিশোধ উপ-অনুচ্ছেদ (১) এর অধীন আয়কর হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত হয়।

(৪) উৎসে কর্তনকৃত অর্থ হিসাব করিবার ক্ষেত্রে –

(ক) পুঞ্জিভূত স্থিতি হইতে পরিশোধ বেতন হিসাবে বিবেচিত হইবে;

(খ) গড় হার অনুসরণ করিতে হইবে;

(গ) কর্তন ও পরিশোধ সম্পর্কিত এই আইনের বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

৭। স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলসমূহের হিসাব।-

(১) কোনো স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের হিসাব তাহার ট্রাস্টিগণ কর্তৃক পরিচালিত হইবে এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে ও মেয়াদে এবং বিবরণাদি সহযোগে সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(২) আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যেকোনো উপযুক্ত সময়ে পরিদর্শনের জন্য হিসাব উন্মুক্ত রাখিতে হইবে এবং ট্রাস্টিগণ কর্তৃক বোর্ডের নির্দেশ অনুসারে হিসাবের সারসংক্ষেপ উপকর কমিশনারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।

৮। বিদ্যমান স্থিতিসহ ভবিষ্য তহবিলের স্বীকৃতি।-

(১) যেইক্ষেত্রে কোনো ভবিষ্য তহবিলকে বিদ্যমান স্থিতিসহ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়, সেইক্ষেত্রে ট্রাস্টিগণ নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে তহবিলের একটি হিসাববিবরণী প্রণয়ন করিবে বা করিবার ব্যবস্থা করিবে –

(ক) স্বীকৃতি-পূর্ব মেয়াদের শেষ দিন পর্যন্ত হিসাববিবরণী প্রণয়ন করিতে হইবে;

(খ) হিসাববিবরণীতে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি প্রদর্শিত হইবে –

(অ) উক্ত শেষ দিন পর্যন্ত প্রত্যেক কর্মচারীর জমাকৃত অংশের স্থিতির পরিমাণ, স্থিতিতে চাঁদার অংশ এবং চাঁদা বিহীন অংশের বিভাজন;

(আ) স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত জমার স্থিতির পরিমাণ, অতঃপর স্থানান্তরিত স্থিতি হিসাবে উল্লিখিত;

(ই) স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে বর্তমান পর্যন্ত অস্থানান্তরিত স্থিতির পরিমাণ;

(ঈ) স্থানান্তরিত স্থিতি এবং অস্থানান্তরিত স্থিতিতে উক্ত শেষ দিন পর্যন্ত চাঁদার অংশ এবং চাঁদা বিহীন অংশের বিভাজন;

(উ) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য বিবরণ।

(২) যে তারিখ হইতে স্বীকৃতি কার্যকর হইবে, সেই তারিখ হইতে উক্ত স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অনুকূলে স্থানান্তরিত স্থিতি জমার স্থিতি হিসাবে প্রদর্শন করিতে হইবে।

(৩) বিদ্যমান তহবিলে কোনো কর্মচারীর অনুকূলে জমার স্থিতির যে অংশ স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে স্থানান্তর করা হয় নাই, উহা স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের হিসাববিবরণী হইতে বাদ রাখিতে হইবে, এবং এই আইনের বিধানাবলি অনুসারে তাহার উপর করদায় কার্যকর হইবে, এবং এই অংশের বিধানাবলি উক্ত স্থিতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

(৪) যেইক্ষেত্রে স্থানান্তরিত স্থিতিতে চাঁদার অংশ এবং চাঁদা বিহীন অংশ উভয়ই থাকে, সেইক্ষেত্রে চাঁদা বিহীন অংশের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) তহবিলটি স্বীকৃতি লাভের আয়বর্ষে কর্মচারী কর্তৃক গৃহীত আয় হিসাবে বিবেচিত হইবে।

(৫) একজন কর্মচারী উপ-অনুচ্ছেদ (৪) এর অধীন নিরুপিত করের অর্থ পরিশোধে সক্ষম হইবার লক্ষ্যে স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলটিতে তাহার অনুকলে স্থিতি হইতে অর্থ উত্তোলনের অধিকারী হইবেন।

(৬) এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হইবার পূর্বে স্বীকৃতি প্রাপ্ত নহে এইরুপ ভবিষ্য তহবিল পরিচালনাকারী বা তহবিলের সহিত লেনদেনকারী কোনো ব্যক্তির অথবা স্থিতি জমাদানকারী কোনো কর্মচারীর অধিকারকে ক্ষুণ্ন করিবে না।

৯। নিয়োগকর্তা কর্তৃক ট্রাস্টির নিকট হস্তান্তরিত তহবিল সম্পর্কিত ব্যবস্থা।-

(১) যেইক্ষেত্রে একজন নিয়োগকর্তা কর্মচারীদের কল্যাণে কোনো ভবিষ্য তহবিল, স্বীকৃত বা অস্বীকৃত যাহাই হউক না কেন, পরিচালনা করেন এবং উক্ত তহবিল বা তাহার অংশবিশেষ হস্তান্তরিত না হয়, সেইক্ষেত্রে কর্মচারীদের অংশগ্রহণকৃত উক্তরুপ তহবিল বা তাহার অংশবিশেষ ট্রাস্টের ট্রাস্টিগণের নিকট হস্তান্তরিত হইলে, উক্ত হস্তান্তরিত অর্থ মূলধনি প্রকৃতির ব্যয় হিসাবে বিবেচিত হইবে।

(২) যেইক্ষেত্রে তহবিলে অংশগ্রহণকারী একজন কর্মচারীকে পুঞ্জিভূত স্থিতির অর্থ পরিশোধ করা হয়, সেইক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদেয় উক্ত স্থিতির প্রতিনিধিত্বকারী কোনো অর্থের অংশবিশেষ ট্রাস্টির নিকট হস্তান্তরিত হইলে (সুদ যোগ না করিয়া এবং কর্মচারীর চাঁদা বাবদ জমা ও উক্ত জমার সুদ ব্যতীত) নিয়োগকর্তা যদি উক্ত কর্মচারীকে তাহার প্রাপ্য অংশের অর্থ পরিশোধের আগে সংশ্লিষ্ট অংশের উপর প্রদেয় কর উৎসে কর্তনের নিশ্চিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহা হইলে যেই আয়বর্ষে কর্মচারীর অনুকূলে পুঞ্জিভূত স্থিতি পরিশোধ করা হইয়াছিল, সেই বর্ষের জন্যে উহা ধারা ৪৯ দফা (ফ) অনুযায়ী ব্যয় হিসাবে অনুমোদিত হইবে।

১০। তহবিলের প্রবিধানের উপর এই অংশের বিধানাবলির প্রাধান্য।-

যেইক্ষেত্রে স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলের কোনো প্রবিধানের সহিত এই অংশের কোনো বিধানাবলি বা এর অধীন প্রণীত কোনো বিধিমালার বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়, সেইক্ষেত্রে তহবিলের প্রবিধানের অসামঞ্জস্যপূর্ণ অংশটুকু অকার্যকর গণ্য হইবে; এবং কমিশনার যেকোনো সময় তহবিলের প্রবিধানের অসামঞ্জস্যপূর্ণ অংশটুকু দূরীভূত করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

১১। আপিল।-

(১) কোনো ভবিষ্য তহবিলের ক্ষেত্রে স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান কিংবা স্বীকৃতি প্রত্যাহারের বিষয়ে কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে নিয়োগকর্তা এইরূপ আদেশ জারির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে বোর্ডের নিকট আপিল করিতে পারিবেন।

(২) আপিল আবেদনটি নির্ধারিত ফরমে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রতিপাদনপূর্বক দাখিল করিতে হইবে।

১২। ব্যাখ্যা।- এই অংশের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে-

(ক) “পরিশোধ্য পুঞ্জিভূত স্থিতি” অর্থ কোনো কর্মচারীর নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিচালিত তহবিলে কর্মচারীর এই তহবিলের প্রবিধানের অধীন তাহার দ্বারা দাবিকৃত জমাকৃত স্থিতি বা তাহার অংশবিশেষ, যেদিন হইতে তিনি নিয়োগকর্তার অধীন কর্মচারী নহে;

(খ) “বার্ষিক প্রবৃদ্ধি” অর্থ একজন কর্মচারীর জমাকৃত স্থিতির অর্থের এক বৎসরের প্রদত্ত চাঁদা এবং সুদ হইতে বৃদ্ধ প্রাপ্ত পরিমাণ;

(গ) “জমার স্থিতি” অর্থ কোনো কর্মচারীর যেকোনো সময় ভবিষ্য তহবিলে তাহার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমাকৃত সর্বমোট অর্থ;

(ঘ) “চাঁদা” অর্থ কোনো কর্মচারী কর্তৃক বা তাহার অনুকূলে তাহার বেতন হইতে অথবা নিয়োগকর্তা কর্তৃক তাহার নিজস্ব অর্থ হইতে কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ, তবে সুদ হিসাবে এইরূপ জমাকৃত কোনো অর্থ চাঁদার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

(ঙ) “চাঁদার অংশ” অর্থ ভবিষ্য তহবিলে কর্মচারী ও নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদার সমষ্টি;

(চ) “চাঁদা বিহীন অংশ” অর্থ ভবিষ্য তহবিলে কর্মচারী ও নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা ব্যতীত পুঞ্জিভূত হওয়া অর্থ;

(ছ) “কর্মচারী” অর্থ ভবিষ্য তহবিলে অংশগ্রহণ করিয়াছেন এইরুপ কোনো কর্মচারী, তবে ব্যক্তিগত কর্মচারী বা গৃহভূত্য ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

(জ) “নিয়োগকর্তা” অর্থ-

(অ) কোনো কোম্পানি, ফার্ম, অন্যান্য ব্যক্তি সংঘ, কোনো হিন্দু অবিভক্ত পরিবার বা কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি যদি এইরূপ ব্যবসা বা পেশায় নিয়োজিত হয় যাহার মুনাফা বা অর্জন “ব্যবসা হইতে আয়” খাতের অধীন কর নির্ধারিত হয়, তাহার এবং তাহার কর্মচারীদের কল্যানে ভবিষ্য তহবিল পরিচালনা করে; অথবা

(আ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত কোনো কূটনৈতিক, কনসুলার অথবা বাণিজ্য মিশন অথবা আন্তঃদেশীয় সংস্থার কোনো কার্যালয়, যাহা বাংলাদেশে অবস্থিত এবং ইহার কর্মচারীগণের কল্যাণে ভবিষ্য তহবিল পরিচালনা করে;

(ঝ) “স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল” অর্থ এই অংশের বিধানাবলির অধীন কমিশনার কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্তির প্রক্রিয়াধীন আছে এইরূপ কোনো ভবিষ্য তহবিল;

(ঞ) “তহবিলের প্রবিধান” অর্থ নির্দিষ্ট কোনো ভবিষ্য তহবিল গঠন ও পরিচালনা সম্পর্কে প্রণীত বিশেষ প্রবিধিমালার সমষ্টি; এবং

(ট) “বেতন” অর্থে মহার্ঘ ভাতা অন্তর্ভূক্ত হইবে, যদি চাকরির শর্তে উহা বিধৃত হয়, তবে অন্য কোনো ভাতা বা পারকুইজিট ইহার আওতা বহির্ভূত থাকিবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইটে উল্লিখিত কোনো কিছু যদি সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশের সহিত সাংঘর্ষিক হয় সেইক্ষেত্রে উক্ত ইস্যুকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশই প্রাধান্য পাবে।

Protected Contents. You are not allowed to do this action. For any information, please connect at info@taxvatpoint.com

Scroll to Top