মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২
১[ ধারা ৮৬ - ন্যায় নির্ণয়ার্থ (adjudication) কার্যধারা গ্রহণে মূসক কর্মকর্তাগণের আর্থিক সীমা
(১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বা করারোপ ও আদায়ের লক্ষ্যে―
(ক) আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে, কাস্টমস কর্মকর্তাগণ কাস্টমস আইন এর অধীন কার্যধারা গ্রহণ করিবেন; এবং
(খ) পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, মূসক কর্মকর্তাগণ এই আইনের অধীন, নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত আর্থিক ক্ষমতা সাপেক্ষে, কার্যধারা গ্রহণ করিবেন, যথা:-
২[সারণী
ক্রমিক নং | কর্মকর্তা | ক্ষমতা |
(১) | (২) | (৩) |
(ক) | কমিশনার | পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য ১ (এক) কোটি টাকার অধিক হইলে; |
(খ) | অতিরিক্ত কমিশনার | পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা হইলে; |
(গ) | যুগ্ম কমিশনার | পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা হইলে; |
(ঘ) | উপ-কমিশনার | পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা হইলে; |
(ঙ) | সহকারী কমিশনার | পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা হইলে; |
(চ) | রাজস্ব কর্মকর্তা | পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা হইলে; |
তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল কার্যধারার বিষয়বস্তুর সহিত কোন আর্থিক সংশ্লেষ নাই বা অনিয়ম সংক্রান্ত, সেই সকল কার্যধারা ৩[সহকারী কমিশনারের নিম্নে নহেন এমন কোন কর্মকর্তা] কর্তৃক নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
ব্যাখ্যা।- এই টেবিলে বর্ণিত “পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য” নির্ধারণের ক্ষেত্রে, আটককৃত পণ্য বা সেবা বহনকারী যানবাহনের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
(২) প্রত্যেক মূসক কর্মকর্তা এই ধারার অধীন গৃহীত প্রত্যেক কার্যধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিশের মাধ্যমে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন।]
৪[(৩) যদি কোন ব্যক্তি তৎকর্তৃক ৫[ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে] সংক্ষিপ্ত ন্যায় নির্ণয়ন এর আবেদন করেন, তবে সে ক্ষেত্রে ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি এ শুনানী গ্রহণ ব্যতিরেকে উক্ত ক্ষেত্রে ন্যায় নির্ণয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করিতে পারিবেন। ]
১ অর্থ আইন, ২০১৯ এর ৮৯ ধারাবলে নিম্নরূপ ধারা ৮৬ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
[ধারা ৮৬ – ন্যায় নির্ণয়ার্থ (adjudication) কার্যধারা গ্রহণে মূসক কর্মকর্তাগণের আর্থিক সীমা
(১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বা করারোপ ও আদায়ের লক্ষ্যে-
(ক) আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে, শুল্ক কর্মকর্তাগণ শুল্ক আইনের অধীন কার্যধারা গ্রহণ করিবেন; এবং
(খ) পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, মূসক কর্মকর্তাগণ এই আইনের অধীন, নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত আর্থিক ক্ষমতা সাপেক্ষে, কার্যধারা গ্রহণ করিবেন, যথা:-
সারণী
ক্রমিক নং | কর্মকর্তা | ক্ষমতা |
(১) | (২) | (৩) |
(ক) | কমিশনার বা চীফ কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য ২০ (কুড়ি) লক্ষ টাকার অধিক |
(খ) | অতিরিক্ত কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ২০ (কুড়ি) লক্ষ টাকা |
(গ) | যুগ্ম কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ১৫ (পনের) লক্ষ টাকা |
(ঘ) | উপ কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা |
(ঙ) | সহকারী কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা |
(চ) | রাজস্ব কর্মকর্তা | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা: |
তবে শর্ত থাকে যে, যেসকল কার্যধারার বিষয়বস্তুর সহিত কোন আর্থিক সংশ্লেষ নাই তথা অনিয়ম সংক্রান্ত, সেই সকল কার্যধারা নির্ধারিত মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
(২) প্রত্যেক মূসক কর্মকর্তা এই ধারার অধীন গৃহীত প্রত্যেক কার্যধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিশের মাধ্যমে শুনানির সুযোগ প্রদান করিবেন। ]
২ অর্থ আইন, ২০২৩ এর ২২ ধারাবলে, অর্থ আইন ২০১৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত নিম্নরূপ সারণী এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
সারণী
ক্রমিক নং | কর্মকর্তা | ক্ষমতা |
(১) | (২) | (৩) |
(ক) | কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য ৪০ (চল্লিশ) লক্ষ টাকার অধিক; |
(খ) | অতিরিক্ত কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ৪০ (চল্লিশ) লক্ষ টাকা; |
(গ) | যুগ্ম কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা; |
(ঘ) | উপ-কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা; |
(ঙ) | সহকারী কমিশনার | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা; |
(চ) | রাজস্ব কর্মকর্তা | পণ্য বা সেবার মূল্য অনধিক ৪ (চার) লক্ষ টাকা: ] |
৩ অর্থ আইন, ২০২১ এর ৫১(ক) ধারাবলে “নির্ধারিত মূসক কর্মকর্তা” শব্দগুলির পরিবর্তে “সহকারী কমিশনারের নিম্নে নহেন এমন কোন কর্মকর্তা” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত।
৪ অর্থ আইন, ২০২০ এর ৭৩ ধারাবলে নূতন উপ-ধারা (৩) সংযোজিত।
৫ অর্থ আইন, ২০২১ এর ৫১(খ) ধারাবলে “ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে” শব্দগুলির পরিবর্তে “ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাঁকির ক্ষেত্রে” শব্দগুলি ও কমা শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইটে উল্লিখিত কোনো কিছু যদি সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশের সহিত সাংঘর্ষিক হয় সেইক্ষেত্রে উক্ত ইস্যুকৃত আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও আদেশই প্রাধান্য পাবে।